মঈন উদ্দীন: রোজার শুরুতেই রাজশাহীর বাজারে আরেক দফায় বেড়েছে সকল প্রকার সবজি, মাছ, মুরগি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুক্রবার রাজশাহীর সাহেব বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ সপ্তাহে ৪০০ টাকা বেড়ে বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে, ছোট ইলিশ ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিতে।
এ ছাড়া ১০০ টাকা বেড়ে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজিতে। কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে বাঁশপাতা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে। এ সপ্তাহে সকল প্রকার কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেশি দরে।
মাছ বিক্রেতা নজরুল জানান, এ সপ্তাহে মাছের আমদানি কম থাকায় দাম বেশি । চাহিদা অনুযায়ী আমরা মাছ না পাওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম বেশি। এ সপ্তাহে সকল প্রকার সবজি দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকা বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা বেশি দরে, ২০ টাকা বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, ১০ টাকা বৃদ্ধিতে লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালিতে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
সবজি বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, হঠাৎ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ আমরা বলতে পারছিনা। এছাড়া বাজারে সবজির আমদানিও কম তাই হয়তো সবজির দামটা বেশি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব রকমের মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা , ১০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা কেজিতে এবং ৪৬০ টাকা কেজিতে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেশি।
মুরগি বিক্রেতা ডন জানান, আজ বাজারে মুরগির স্বল্পতা, আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সে পরিমানে আমদানি নাই আর আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে তাই আমরা কেজিতে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি কেরতে বাধ্য হচ্ছি। এছাড়া মুদি সামগ্রি সকল প্রকার পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.